Germany এর university গুলোতে দুইটি উপায়ে apply করা যায়।
১. একটা University এর portal থেকে
২. আর অন্যটা uni-assiast এর মধ্যমে।
আপনি DAAD যখন university এবং এটির subject খুজেছেন তখন এটির সব কিছু দেখলে আপনি overview এর মধ্যে apply করার উপায় পেয়ে যাবেন। ১ নং ছবিতে এটি পেয়ে যাবেন। তবে আপনাকে আরো জেনে রাখা দরকার যে University এর portal থেকে apply করলে টাকা লাগে না। কিন্তু আপনি uni-assist এর মাধ্যমে করলে টাকা লাগে।
Table of Contents
1.
2.
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। নিচে কিছু কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো, যা আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ করতে সহায়তা করবে এবং আপনার ভর্তির সম্ভাবনা বাড়াবে:
১. জার্মান শিক্ষাব্যবস্থার ধারণা নিন
- জার্মানিতে সাধারণত দুটি ধরণের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে: বিশ্ববিদ্যালয় (Universitäten) যেখানে গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনা হয় এবং প্রয়োগভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় (Fachhochschulen) যেখানে বেশি প্র্যাকটিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রি ফোকাসড শিক্ষা দেওয়া হয়।
- আপনার ক্যারিয়ার এবং একাডেমিক লক্ষ্যের সাথে মিলিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানটি আপনার জন্য ভালো হবে তা বেছে নিন।
২. প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে রিসার্চ করুন
- অনেক প্রোগ্রাম ইংরেজিতে পড়ানো হয়, বিশেষত মাস্টার্স পর্যায়ে। DAAD (German Academic Exchange Service) এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রোগ্রাম খুঁজে পাওয়া যায়।
- কোনো কোর্সে আবেদন করার আগে অবশ্যই দেখে নিন আপনি প্রয়োজনীয় একাডেমিক যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা পূরণ করছেন কি না।
৩. ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করুন
- যদিও অনেক প্রোগ্রাম ইংরেজিতে পড়ানো হয়, কিছু ক্ষেত্রে জার্মান ভাষার বেসিক জ্ঞান প্রয়োজন হয়।
- জার্মান ভাষায় কোর্স হলে, TestDaF বা DSH পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হতে পারে। ইংরেজি ভাষার প্রোগ্রামে IELTS বা TOEFL স্কোর প্রয়োজন হয়।
- প্রাত্যহিক জীবনে খাপ খাওয়াতে সহায়ক হতে পারে বলে জার্মান ভাষার বেসিক জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করুন।
৪. আবেদন সামগ্রী ঠিকঠাক প্রস্তুত করুন
- ট্রান্সক্রিপ্ট এবং একাডেমিক রেকর্ড: ট্রান্সক্রিপ্ট গুলো প্রয়োজনীয় অনুবাদ এবং সার্টিফাই করে নিন।
- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP): SOP-তে আপনার একাডেমিক এবং প্রফেশনাল লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন।
- লেটার অফ রেকমেন্ডেশন: আপনার একাডেমিক দক্ষতা সম্পর্কে অবগত এমন ব্যক্তির কাছ থেকে রেফারেন্স চেয়ে নিন।
- রেজুমে বা সিভি: সিভি সাধারণত রিভার্স-ক্রোনোলজিক্যাল অর্ডারে বানাতে হয়, যাতে শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য তথ্য থাকে।
৫. ইউনি-অ্যাসিস্ট ব্যবহার করে আবেদন
- অনেক জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় Uni-Assist ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আবেদনকারীদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য। Uni-Assist এর মাধ্যমে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করা যায়।
৬. ডেডলাইন মেনে চলুন
- সাধারণত জার্মানিতে শীতকালীন সেশনের জন্য জুলাই এবং গ্রীষ্মকালীন সেশনের জন্য জানুয়ারি মাসে ডেডলাইন থাকে।
- আগেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন যেন ভাষার পরীক্ষা, ডকুমেন্ট প্রস্তুতি এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে।
৭. আর্থিক পরিকল্পনা এবং স্কলারশিপ
- জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি কম বা নেই, তবে জীবনযাত্রার খরচ তো আছেই।
- DAAD এবং Deutschlandstipendium এর মতো স্কলারশিপগুলি খুঁজে দেখুন।
- ফাইন্যান্সিয়াল রিসোর্সের প্রমাণ দিতে হতে পারে ভিসার জন্য।
৮. স্টুডেন্ট ভিসা এবং স্বাস্থ্য বীমা
- ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। স্বাস্থ্য বীমাও বাধ্যতামূলক।
- আপনি জার্মান পাবলিক স্বাস্থ্য বীমা বা নিজ দেশের সমমানের বীমা দেখাতে পারেন।
৯. বাসস্থান এবং জীবনযাপনের পরিকল্পনা করুন
- আগেভাগে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে কারণ জার্মানিতে, বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে স্টুডেন্ট হাউজিং পাওয়া কঠিন হতে পারে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরি, ব্যক্তিগত এপার্টমেন্ট অথবা WG বা শেয়ারড ফ্ল্যাটে থাকতে পারেন।
১০. জার্মান সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নিন
- জার্মানরা সাধারণত সময়নিষ্ঠ, সরাসরি কথা বলে, এবং শৃঙ্খলা পছন্দ করে। এই ধরনের সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো বুঝতে পারলে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে।
- অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাডি প্রোগ্রাম থাকে যেখানে পুরানো শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে, যা আপনাকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
১১. পড়াশোনা শেষে কাজের সুযোগ বিবেচনা করুন
- জার্মানিতে পড়াশোনা শেষ করার পর ১৮ মাসের জন্য জব সার্চ ভিসা পাওয়ার সুযোগ থাকে।
- ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, বিজ্ঞান এবং বিজনেস ফিল্ডে ভালো চাকরির বাজার রয়েছে, যা পড়াশোনা চলাকালেই কানেকশন গড়ে তোলার চেষ্টা করলে সুবিধা হতে পারে।