Choose Subject

নিজের পছন্দমত subject বাছাই করা অনেক কঠিন আর গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনি Bachelor এ যে subject এ পড়েছেন MSc তে সেই subject নাও পেতে পারেন। কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে যে আপনার MSc এর subject এর সাথে bachalor এর subject এ মিল আছে কিনা। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন তাহল আপনাকে শুধু জার্মানিতে আসতে হবে তাই সব সাবজেক্টে এপ্লাই করা উচিত। আপনি যখন চান্স পাবেন বা অফার লেটার পাবেন সেই অফার লেটার ভেতর থেকে আপনি বাছাই করবেন কোথায় যাবেন, তার আগে অন্য বিষয়ে চিন্তা করাটাই শ্রেয়।

আপনি university। choose করতে চাইলে আপনি DAAD website এ যেতে হবে। link নিচে দেওয়া হল।

Link: https://www2.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programmes/en/result/?cert=&admReq=&langExamPC=&scholarshipLC=&langExamLC=&scholarshipSC=&langExamSC=&degree%5B%5D=&fos=&langDeAvailable=&langEnAvailable=&lang%5B%5D=&modStd%5B%5D=&cit%5B%5D=&tyi%5B%5D=&ins%5B%5D=&fee=&bgn%5B%5D=&dat%5B%5D=&prep_subj%5B%5D=&prep_degree%5B%5D=&sort=4&dur=&subjects%5B%5D=&q=&limit=10&offset=&display=list

or Click Here.

ছবিতে যেমন আছে ঠিক এভাবে করবেন। আপনি যদি Computer Science এর subject খুজতে চান যে এমন কোনো বিষয়ে আপনি পড়তে যাবেন।


জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার বিষয় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে। এই দিকনির্দেশনা আপনাকে আপনার পছন্দের বিষয়টি বেছে নিতে অনেক সাহায্য করবে। এখানে প্রক্রিয়াগুলি দেওয়া হলো:

১. নিজের ক্যারিয়ারের মূল লক্ষ্য এবং আপনার আগ্রহ কোথায় তা চিহ্নিত করুন

  • স্ব-মূল্যায়ন: নিজের দক্ষতা, আগ্রহ এবং ক্যারিয়ার কোথায় নিয়ে যাবেন তা দেখুন। আপনি নিজে আগামী ৫-১০ বছরে কোথায় থাকতে চান এবং কোন বিষয়ের জ্ঞান আপনাকে সেখানে পৌঁছাতে সাহায্য করবে তা ভালোভাবে বিবেচনা করুন।
  • শিল্পের প্রবণতা: জার্মানিতে যে যে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন ক্ষেত্রগুলো আছে তা নিয়ে ভালোভাবে বিচার বিশ্লেষন করুন, যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, পরিবেশ বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যবসা।

২. জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে জানুন

  • বিশ্ববিদ্যালয় (Universität): একাডেমিক এবং তাত্ত্বিক শিক্ষার জন্য উপযুক্ত, যা আপনার যদি গবেষণা বা পিএইচডি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে এটি সেরা হয়।
  • প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Technische Universitäten): কারিগরি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য বিখ্যাত। TU Munich বা RWTH Aachen-এর মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের প্রোগ্রাম অফার করে থাকে।
  • অ্যাপ্লাইড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (Fachhochschulen): ব্যবহারিক এবং হাতেকলমে শিক্ষার জন্য উপযুক্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা এবং ডিজাইন ক্ষেত্রগুলোতে ভালো সুযোগ পাওয়া যায়।
  • শিল্প ও সংগীত কলেজ: যারা চারুকলা বা সংগীতে বিশেষভাবে আগ্রহী, তাদের জন্য জার্মানির কিছু বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা তাদের একটা মঞ্চ তৈরি দিত।

৩. আপনি জনপ্রিয় প্রোগ্রামগুলিকে যাচাই বাছাই করুন

কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্র আছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়, যেমন:

  • ইঞ্জিনিয়ারিং (যেমন মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল)
  • কম্পিউটার সায়েন্স এবং আইটি
  • প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (যেমন রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান)
  • ব্যবসা, অর্থনীতি এবং ম্যানেজমেন্ট
  • সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিজ্ঞান

আরও কিছু বিশেষ বিষয়ের জন্য, জার্মানিতে নবায়নযোগ্য শক্তি, অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রোগ্রামও পাওয়া যায়।

৪. ভাষার উপর বিষয়গুলি কেমন তা গবেষণা করে দেখা দরকার

  • ইংরেজি ভাষায় প্রোগ্রাম: অনেক মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজিতে পড়ানো হয়, বিশেষত কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলি। DAAD এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে আপনি অনেক তথ্য পাবেন।
  • জার্মান ভাষায় প্রোগ্রাম: ব্যাচেলরের এবং মাসটার্স প্রোগ্রামের জন্য জার্মান ভাষায় অনেক প্রোগ্রাম আছে তা থেকে বেছে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণত B2 বা C1 লেভেলের জার্মান ভাষা দক্ষতা প্রয়োজন। হয়।

৫. প্রোগ্রামগুলির কারিকুলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং সম্পর্কে জানুন

  • র‌্যাঙ্কিং: প্রতিজটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক এবং বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিং আছে এটি দেখার জন্য  QS, THE, বা DAAD এর ওয়েব সাইটগুলোতে যেতে পারেন।
  • কারিকুলাম: কোর্সের মডিউল, ঐচ্ছিক বিষয় এবং সম্ভাব্য বিশেষায়নগুলো যা আছে সেগুলি ভালো করে দেখুন। এটি আপনাকে বিষয়গুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা দেবে বলে আশা রাখি।

৬. ভর্তি শর্তাবলী ভালোভাবে যাচাই করুন

  • একাডেমিক যোগ্যতা: যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামগুলিতে গণিত এবং বিজ্ঞান নিয়ে কেমন পড়াশুনা করেছেন তার দরকার হতে পারে।
  • স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট এবং GPA: কিছু প্রোগ্রামে GRE বা ন্যূনতম GPA প্রয়োজন হতে পারে। এগুলি পূরণ করা নিশ্চিত করুন।

৭. জার্মানিতে আপনার ক্যারিয়ার সম্ভাবনা এবং চাকরির বাজার কেমন তা সম্পর্কে জানুন

  • কাজের সুযোগ: কারিগরি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র, আইটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে জার্মানিতে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে।
  • গ্র্যাজুয়েশনের পর কাজের ভিসা: জার্মানিতে পড়াশোনা শেষে ১৮ মাসের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া যায়, যা আপনাকে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়।

৮. স্কলারশিপ এবং অর্থায়নের সুযোগ বিবেচনা করুন

  • DAAD এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ রয়েছে।

৯. নেটওয়ার্কিং সুযোগ এবং অ্যালামনাই সাপোর্ট

  • নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট: এমন বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিন যা শিল্প সংযোগ এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের সুযোগ দেয়।
  • অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক: প্রোগ্রামের অ্যালামনাই কমিউনিটি এবং তাদের সফলতার গল্প পড়ুন।

১০. অন্যান্য  আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বা কমিউনিটির পরামর্শ নিন

  • অনলাইন ফোরাম: যেমন দ্যা স্টুডেন্ট রুম, রেডডিট, অথবা বিশ্ববিদ্যালয়-নির্দিষ্ট ফেসবুক গ্রুপে আলোচনা করে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাগুলি জেনে নিন।
  • DAAD আঞ্চলিক অফিস: বিভিন্ন দেশে DAAD অফিসে পরামর্শ সেশন থাকে, যা আপনাকি ভালো সহায়তা করতে পারে।

প্রোগ্রাম খুঁজতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম

  • DAAD ডাটাবেস: DAAD ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রোগ্রামের একটি বিস্তৃত ডাটাবেস রয়েছে যেখান থেকে অনেক কিছুই পেয়ে যাবেন।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট: পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রোগ্রাম, শিক্ষক এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

সারসংক্ষেপ চেকলিস্ট:

  1. আপনার একাডেমিক বিষয়ে আগ্রহ এবং ক্যারিয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
  2. জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ধরণ সম্পর্কে জানুন।
  3. অধ্যয়নের জন্য আপনার সুবিধা মত ভাষা বেছে নিন।
  4. সম্ভাব্য প্রোগ্রামগুলির কারিকুলাম এবং র‌্যাঙ্কিং যাচাই করুন।
  5. ভর্তি শর্তাবলী পূরণ করুন।
  6. গ্র্যাজুয়েশনের পরের কর্মসংস্থানের সুযোগগুলি কেমন তাও বিবেচনা করুন।
  7. স্কলারশিপ এবং অর্থায়নের সুযোগ আছে কি না তা বিবেচনা করুন।
  8. নেটওয়ার্কিং এবং অ্যালামনাই সাপোর্ট খুঁজে দেখুন।

মোটকথা একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি এমন একটি বিষয় খুঁজে পাবেন যা আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে এবং জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যথাযথ সুযোগ তৈরি করবে।