Embassy Appointment

জার্মানি এম্বাসিতে এপয়েন্টমেন্ট নেয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার জন্য প্রথম ধাপ।

এর মূল কারণ হচ্ছে যে জার্মানিতে আপনি যদি এখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেন তাহলে আপনার ইন্টারভিউ এর ডাক মোটামুটি 19 মাস পর আসবে।

এজন্য আপনি যদি মনে করেন যে আপনি অফার লেটার পাওয়ার পরে এপয়েন্টমেন্ট নিবেন তাহলে এটা অনেক বড় ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

আর ভালো সিদ্ধান্ত হবে আপনি যদি প্রথম পাসপোর্ট বানানোর পরই একটা এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নেন জার্মান এম্বাসিতে। তারপর আপনি অন্যান্য প্ল্যানিং করলেন যে এখন IELTS এর প্রস্তুতি নিবেন না অন্য কিছু দেবেন এগুলো প্ল্যানিং করে ফেললেন।


আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে আপনার এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য কোন টাকা লাগবে না, আপনি যখন ইন্টারভিউ দিতে যাবেন মানে হচ্ছে ১৯ মাস কিংবা দুই বছর পরে যখন ইন্টারভিউতে আপনাকে ডাকবে তখন আপনার টাকা দিতে হবে।

আর একটা কথা, আপনার যদি মনে হয় যে আপনি পরবর্তীতে জার্মানি যাবেন না তাহলে অবশ্যই আপনার যেই অ্যাপার্টমেন্ট আছে ওটা ক্যানসেল করে দেবেন। এর ফলে আপনার জায়গায় আরেকটা ছেলে চলে আসবে এবং সে এপয়েন্টমেন্টটা পেয়ে যাবে। কারণ জার্মান এম্বাসি প্রতিবার একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক স্টুডেন্টকে এপয়েন্টমেন্ট এর মেইল দিয়ে থাকে তাই আপনি যদি ক্যান্সেল করেন তাহলে ওই জায়গায় আরেকটা ছেলে আসবে।

Embassy Appointment Link: https://service2.diplo.de/rktermin/extern/choose_realmList.do?locationCode=dhak&request_locale=en

or Click Here.

  1. লিঙ্কে ক্লিক করলে ১ নাম্বার পেজ দিখতে পাবেন। পেজের একদম নিচে গেলে “Continue” এর উপর ক্লিক করেন। আপনি চাইলে সম্পূর্ণ পেজ পড়তেও পারেন তবে আমার মনে হয় যে না পড়লেও সমস্যা হবে না কোনো।

2. ২ নম্বর ছবির মত দেখতে পেজে আসার পর আপনি ক্যাটাগরি পেয়ে যাবেন। আপনি যেটার জন্য আবেদন করবেন সেয় ক্যাটাগরি তে “Continue” করে দিবেন।

3. ৩ নং পেজে কিছুই করবো নাহ। এই পেজে আসার পর একদম নিচে যেয়ে “New application” এ ক্লিক করে দিব।

4. ৪ নং ছবির পেজে আসার পর আপনি আপনার Passport টা বের করে A to Z সব পূরণ করবেন। offer letter এর জায়গায় আপনার offer letter থাকলে দিবেন Yes আর না থাকলে দিবেন no.

জার্মান এম্বাসিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার সময়  কি কি এড়িয়ে চলা উচিত

১. একাধিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিবেন না: ভিন্ন নাম বা অন্য ক্যাটাগরিতে একাধিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিবেন না। এম্বাসি যদি একাধিক বুকিং শনাক্ত করতে পারে তাহলে তারা সব অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করতে পারে।

2. ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন না: আবেদন ফর্ম বা দাখিল করা কাগজপত্রে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য দিন। ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে। আপনি আপনার পাসপোর্ট দেখে পুরন করবেন। যা যা লেখা থাকবে তাই তাই দিবেন।

3. অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করবেন না: অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করলে পুনরায় সময় পেতে কত সময় লাগবে তার ঠিক নেয়। তাই সময়মতো উপস্থিত থাকার চেষ্টা করুন, এবং প্রয়োজনে আগেই আবার সব ঠিক করে নিন।

4. শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি এড়িয়ে চলুন: কাগজপত্র শেষ মুহূর্তে জোগাড় করতে যাবেন না তাতে বেশি ভুল হবে।

5. জার্মানিতে কখন উপস্থিত থাকতে পারবেন:  আপনি কখন জার্মানিতে ভ্রমণ করবেন তার একটা নির্দিষ্ট সময় দিয়ে রাখবেন।

6. ভাষাগত প্রয়োজনীয়তা অবহেলা করবেন না কখনো: জার্মান এম্বাসিতে ভাষার একটা নির্দিষ্ট পরিমান থাকে , আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যান তার জন্য ielts এ ৫.৫ লাগবে। কিন্তু অন্যান্য ভিসার জন্য কি পরিমাণ লাগে সেটা আপনার জেনে নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত পরামর্শ

  • এম্বাসির সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন: এম্বাসির নির্দেশিকা অনুসরণ করলে অনেক সাধারণ ভুল এড়াতে পারবেন।
  • অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন চেক করুন: অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিংয়ের পর একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাওয়ার কথা। এই ইমেইলের কপি রেখে দিন এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন সঙ্গে নিয়ে যান।
  • টাকা পয়সার ব্যাপারগুলো দেখুন: বেশিরভাগ ভিসার ক্ষেত্রে টাকা পয়সার ব্যাপারটা অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে জার্মানির জন্য সবসময়ই এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে কাজ করবেন। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পন্সরশিপ লেটার ইত্যাদি সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন এবং এম্বাসির মানদণ্ড মেনে চলুন।