IELTS Listening

আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্ট আপনার ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশই বলা যায়। এটি পরীক্ষার্থীর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ইংরেজি শোনা এবং বোঝার দক্ষতা মূল্যায়ন করে থাকে। এই সেকশনে মূল বিষয়গুলি বুঝতে পারা, নির্দিষ্ট তথ্যগুলো সনাক্ত করা, কি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে সেই পয়েন্টগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করা এবং যে বলতেছে তার আসল উদ্দেশ্য বা বলার ধরণ নির্ধারণ করার মতো দক্ষতাগুলো আইইএলটএস পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়।

আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টের ওভারভিউ

আইইএলটিএস লিসেনিং সেকশনটি প্রায় ৩০ মিনিট ধরে হয়ে থাকে, এবং পেপার-বেসড পরীক্ষায় উত্তর শিটে উত্তর তোলার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এটি চারটি সেকশন নিয়ে গঠিত, যা প্রথম সেকশন থেকে শেষ সেকশন একটু বেশি কঠিন হয়ে থাকে।

চারটি রেকর্ডিংয়ের বিবরণ:

1. সেকশন ১: সামাজিক বিভিন্ন অথবা একটি বিষয় নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন (যেমন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া বা কোথাও ভ্রমণের যাওয়া নিয়ে পরিকল্পনা করা)।
2. সেকশন ২: একটি সামাজিক বা আনুষ্ঠানিক অবস্থা নিয়ে একজন ব্যক্তির বক্তৃতা শুনতে পাবেন (যেমন একটি একজন ভ্রমণ গাইডের বিবরণ)।
3. সেকশন ৩: এখনে আপনি তিন থেকে চারজনের মধ্যে কথোপকথন শুনতে পাবেন, সাধারণত শিক্ষামূলক বা প্রশিক্ষণমূলক বিষয় নিয়ে (যেমন একটি গ্রুপ প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা)।
4. সেকশন ৪: একটি কোনো একটি একাডেমিক বিষয়ের উপর বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন (যেমন একজন অধ্যাপকের লেকচার)।

মোট ৪০টি প্রশ্ন থাকে এবং প্রশ্নের মধ্যে আছে মাল্টিপল চয়েস, ম্যাচিং, মানচিত্র বা ডায়াগ্রাম লেবেলিং, ফাঁকা পূরণ, এবং কিছু সংক্ষিপ্ত উত্তর দেওয়া যায় এমন প্রশ্ন।

লিসেনিং টেস্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য

1. বিভিন্ন ধরনের উচ্চারণ: রেকর্ডিংয়ে আপনি ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ানসহ বিভিন্ন ইংরেজি উচ্চারণ শুনতে পাবেন। যা এটি বিভিন্ন অঞ্চলের ইংরেজি উচ্চারণ বুঝতে সাহায্য করবে।
2. মাত্র একবার শোনার সুযোগ: প্রতিটি রেকর্ডিং একবারই শোনা যাবে, তাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে আপনাকে।
3. প্রশ্নের ধরন: প্রশ্নগুলো আপনার বোঝার ক্ষমতা পরীক্ষা করবে, যেমন একটি নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে বের করা এবং তার সারমর্ম বোঝা।

আইইএলটিএস লিসেনিংয়ে ভালো করার কার্যকর কৌশল

আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টে ভালো করতে নিচের এই কৌশলগুলো অনুসরণ করুন:

1. পরীক্ষার ফরম্যাট সম্পর্কে জানুন: পরীক্ষা কেমন হবে এটি যখন জানবেন তখন আপনার পরীক্ষা আরো ভালোভাবে হবে। আসল পরীক্ষার উত্তরপত্র যেমন হবে এমন কিছু দিয়ে অনুশীলন করুন নিয়মিত।
2. আপনার ইংরেজী শোনার দক্ষতা বাড়ান: নিয়মিত ইংরেজী পডকাস্ট, খবর বা ইংরেজি অডিও  শুনুন। তাদের উচ্চারণ কিভাবে হয়, কেমন টোনে কথা বলে এবং প্রাকৃতিক ভাবে তাদের কথা বলার প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করুন।
3. তথ্য অনুমান করার দক্ষতা: রেকর্ডিং শোনার আগে একবার প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলুন চোখের নজরে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য অনুমান করুন (যেমন সংখ্যা, নাম, স্থান)।
4. সংক্ষিপ্ত নোট নেওয়ার অভ্যাস করুন: রেকর্ডিং শোনার সময় মূল পয়েন্টগুলো লিখুন এটার অভ্যাস করুন। উত্তর স্থানান্তর করার সময় বানান এবং ব্যাকরণ নিয়ে সচেতন হয়ে উঠুন।
5. মনোযোগ দিয়ে শুনুন: রেকর্ডিং একবারই শোনা যাবে, তাই বিভ্রান্ত হবেন না একবারও। যদি কোনো উত্তর মিস করলেও এটি নিয়ে বেশি চিন্তা না করে পরবর্তী প্রশ্নে মনোযোগ দেওয়ায় আসল কাজ হওয়া উচিত।
6. আপনার সময়কে ভালোভাবে ব্যবহার করতে শিখুন: প্রতিটি রেকর্ডিংয়ের মধ্যে বিরতির জন্য সময় দিয়ে থাকে, এই সময়ে পরবর্তী প্রশ্নগুলো সুন্দর করে পড়ে ফেলুন। শেষে উত্তর স্থানান্তরের ১০ মিনিট ভালোভাবে ব্যবহার করুন।

১. স্কোর টেবিল

আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টের স্কোর ০ থেকে ৯ ব্যান্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনার প্রতিটি সঠিক উত্তর (মোট ৪০ এর মধ্যে) থেকে ব্যান্ড স্কোর নির্ধারণ করা হয়। নিচে স্কোর টেবিলটি দেওয়া হলো:

প্রতি সেকশনে রেকর্ডিংয়ের সময়সূচি

প্রতি সেকশনে একটি করে রেকর্ডিং থাকে। প্রতিটি রেকর্ডিংয়ের সময়সূচি:

• প্রস্তুতির সময়: রেকর্ডিং শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো পড়ার জন্য ৩০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়।
• রেকর্ডিং শোনার সময়: প্রতিটি রেকর্ডিং গড়ে ৫–৬ মিনিট দীর্ঘ হয়।
• উত্তর চেক করার সময়: রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পরে ৩০ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয় উত্তর শেষ বারের মত যাচাই করার জন্য।

সাধারণ ভুলগুলো এড়ানোর উপায়

1. মনোযোগ হারানো: পরীক্ষার পুরো সময় মনোযোগ ধরে রাখুন কারণ তা না হলে আপনি উত্তর মিস করবেন।
2. অতিরিক্ত চিন্তা করা: সহজ উত্তরই প্রায়শই সঠিক হয়। তাই দ্বিধা করবেন না যদি না আপনি নিশ্চিত হন যে এটিই হতে পারে।
3. ভুল বানান বা ব্যাকরণ: উত্তর সঠিক হলেও ভুল বানান বা ব্যাকরণে মার্ক কাটা যাবে তাই সাবধান হয়ে জান।

সময় ব্যবস্থাপনার টিপস

1. প্রস্তুতির সময় কাজে লাগান: প্রশ্নগুলো পড়ুন এবং গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা তথ্যের নিচে দাগ দিয়ে রাখুন।
2. উত্তর স্থানান্তরে দেরি করবেন না: কম্পিউটার-বেসড পরীক্ষায় সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়ে দিবেন অবশ্যই। কিন্তু পেপার-বেসড পরীক্ষায় উত্তর স্থানান্তরের যে ১০ মিনিটে সময় দেওয়া হবে তা ভালোভাবে ব্যবহার করুন।
3. মনোযোগ ধরে রাখুন: রেকর্ডিং একবারই শোনা যায়, তাই আপনি মনোযোগ হারাবেন না। একটি প্রশ্ন মিস করলে, পরবর্তী প্রশ্নে মনোযোগ দিন।

পরীক্ষার প্রস্তুতির চূড়ান্ত টিপস

1. অনুশীলন পরীক্ষা দিন: টাইমার দিয়ে পরীক্ষার পরিবেশে অনুশীলন করুন এবং একবার শুনেই উত্তর দিন।
2. ভুল বিশ্লেষণ করুন: ভুল উত্তরগুলো পর্যবেক্ষণ করুন এবং সেগুলো থেকে শেখার চেষ্টা করুন।
3. মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন: আত্মবিশ্বাস এবং পরিষ্কার মন নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিন।

সাধারণ ভুলগুলো এড়ানোর উপায়

1. মনোযোগ হারানো: পরীক্ষার পুরো সময় মনোযোগ ধরে রাখুন কারণ তথ্য দ্রুত চলে আসে।
2. অতিরিক্ত চিন্তা করা: সহজ উত্তরই প্রায়শই সঠিক হয়। দ্বিধা করবেন না যদি না আপনি নিশ্চিত হন।
3. ভুল বানান বা ব্যাকরণ: উত্তর সঠিক হলেও ভুল বানান বা ব্যাকরণে মার্ক কাটা যাবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতির চূড়ান্ত টিপস

1. বসায় নিয়মিত অনুশীলন করুন: টাইমার দিয়ে একটা পরীক্ষার পরিবেশ তৈরি করে নিমিত অনুশীলন করুন বাসায় এবং একবার শুনেই উত্তর দেওয়ার অভ্যাস করুন।
2. ভুল বিশ্লেষণ করুন: ভুল উত্তরগুলো পর্যবেক্ষণ করুন এবং সেগুলো থেকে শেখার চেষ্টা করুন।
3. মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন: আত্মবিশ্বাস এবং পরিষ্কার মন নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিন।

এই কৌশলগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনি আইইএলটিএস লিসেনিং টেস্টে ভালো করতে পারবেন বলে আশা করি।